Monday, November 23, 2015

The Virtues Of Mahe Safar



সফর মাসের ইবাদত এবং এর ফযীলতঃ
এই মাসের চাঁদ উঠিবামাত্র সেই রাত্রে ৬ রাকাত নফল নামাযের প্রথম বারে ৪ রাকাত এবং দ্বিতীয়বারে দু'রাকাত নামাযের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহা একবার এবং সূরা এখলাছ তিন তিন বার পড়ে নামায শেষে দোয়া করবে আল্লাহ্‌ তা'আলা মেহেরবানী করে আমলকারীকে সমস্ত রোগ-ব্যাধি হতে নিরাপদে রাখিবেন।
এই মাসের চাঁদ দেখার রাত্রে মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে যেই ব্যক্তি চার রাকাত নমাজের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহা একবার ও সূরা এখলাছ ১১ বার পড়িয়া নামায শেষে ১০০০ বার এই দরূদ শরীফ "আল্লাহুম্মা ছল্লি আ'লা মুহাম্মাদি নিন্নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি" পড়িলে আল্লাহ্‌ তা'আলা মেহেরবানী করে তার ছোট খাট গুনাহ্‌সমূহ ক্ষমা করে দিবেন এবং স্বপ্নযোগে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর দীদার লাভে ভাগ্যবান হবে।
এই মাসে প্রথম সপ্তাহের প্রথম শুক্রবার রাত্র অত্যন্ত ফযীলত ও বরকতপূর্ণ। যেই ব্যক্তি শুক্রবার রাত্রে এশার নামাযের পর যে কোন সূরার সাহায্যে ৪ রাকাত নফল নামায আদায় করে, তাহলে আল্লাহ্‌ তা'আলা তার দোয়া কবুল করবেন ও তার মনোবাসনা পূর্ণ করবেন এবং সে নেক আমলে অভ্যস্ত হবে।
হযরত আয়েশা (রাঃ) হযরত ফাতেমা (রাঃ) কে সংবাদ দিয়া গৃহে তৈরী রুটি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)-এর খেদমতে হাযির করলেন এবং অন্যান্য আযওয়াজে মোতাহেরাতকেও সংবাদ পাঠাইলেন। এইদিকে বিবি ফাতেমা (রাঃ) স্বীয় পুত্রদ্বয়কে নিয়া হুজুর (সাঃ) এর খেদমতে উপস্থিত হলেন। হুজুর (সাঃ)উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ
উচ্চারণঃ আসহাবী ওয়া ইখওয়ানী! কাইফা হালুকুম বি ফিরাক্বী মিম্বা'দী।
অর্থঃ হে আমার সাহাবী ও ভ্রাতৃবৃন্দ! আমার মৃত্যুর পর আমার বিচ্ছেদে তোমাদের অবস্থা কিরূপ হবে?
এই কথা শ্রবণ করেই সাহাবাগণ ও উপস্থিত অন্যান্য সবাই ব্যাকুল চিত্তে আকুলক্রন্দন শুরু করে দিলেন। তাদেঁর এই আকুলতা ও বিহ্বলতা দেখিয়া দয়ার সাগর আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)তাঁর স্নেহভরে সবাইকে সান্তনা দান করলেন। আর তিনিই সকলের আগে পরম করুণাময় আল্লাহ্‌ তা'আলার দরাবারে যাচ্ছেন বলে ফরমালেন। অতঃপর নবী করীম (সাঃ) মসজিদে নববীতে গিয়া ওয়াক্তিয়া নামাজের ইমামতি করলেন।
সফর চাঁদের শেষ বুধবার সূর্‌যো উঠার পর দু'রাকাত নফল নামাযের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহা একবার এবং সূরা এখলাছ ১১বার পাঠ করে নামায শেষে নিচের দরূদ শরীফ ও দোয়াটি ৭০ বার পাঠ করে আল্লাহ্‌ তা'আলার দরবারে মুনাজাত করবে।
     উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ছল্লি আলা মুহাম্মাদি নিন্নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আ'লা আলিহী ওয়া আস্‌হাবিহী ওয়া বারিক ওয়া ছাল্লাম।
আরেকটি দোয়া হলোঃ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাররিফ আ'ন্নি সু-আ হাযাল ইয়াওমি, ওয়া'সিম্‌নি মিন সু-ইহী ওয়া নাজ্জিনী আ'ম্মা আসাবা ফিহী মিন নুহুসিহী, ওয়া কুরবাতিহী বি ফাদলিকা ইয়া দাফিআ'শশুরুরী ওয়া ইয়া মালিকান নুশুরি, ইয়া আরহামার রহিমীন। ওয়া সাল্লাল্লাহু আ'লা মুহাম্মাদিও ওয়া আলিহীল আমজাদি ওয়া বারিক ওয়া ছাল্লাম্।
*********************